স্বদেশ ডেস্ক ॥ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বসতে চলেছে নারী বিশ্বকাপের দ্বাদশ সংস্করণ।
একক আয়োজক হিসেবে কিউয়ির দেশে আগামী নারী বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে ২০ জানুয়ারি ২০২১।
সেমিফাইনাল-ফাইনাল সহ ৩১ ম্যাচের মেগা ক্রিকেট আসরের যবনিকা পতন হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।
এই নিয়ে চতুর্থবার বিশ্বক্রিকেটের মেগা আসর বসতে চলেছে ওশিয়ানিয়ার এই দেশে।
এর আগে ১৯৯২ ও ২০১৫ অস্টেলিয়ার সঙ্গে যুগ্ম আয়োজক হিসেবে পুরুষ বিশ্বকাপ এবং ২০০০ সালে একক আয়োজক হিসেবে নারী বিশ্বকাপের আয়োজন করে নিউজিল্যান্ড।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দ্বাদশ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়।
আয়োজক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে নিউজিল্যান্ড।
এছাড়া আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নিরীখে প্রথম ৪টি দেশ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
এই চারটি দেশ হল অস্ট্রেলিয়া (২২), ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড (২২), ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপের বাকি তিন দেশ নির্ধারিত হবে।
আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া, ইস্ট এশিয়া প্যাশিফিক এবং ইউরোপের সেরা দেশগুলির সঙ্গে যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
বিশ্বকাপের চেয়ারপার্সন ও চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর লিজ ডসনকে।
নারীদের ক্রিকেট খেলার ইতিহাস কিন্তু দু’দিনের নয়।
১৭৪৫ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের দু’টি গ্রাম ব্রেমলে এবং হেমব্লেডনের মধ্যে একটি ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে এই খেলার জগতে নারীদের প্রথম পদার্পণ।
সেই গ্রাম দু’টির গৃহপরিচারিকাগণ নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলাটির আয়োজন করেন।
তবে আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন, পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরুর আগেই নারীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল।